এবিএনএ: গত ২৩ই সেপ্টেম্বর রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের ব্যস্ততম শহর ম্যানহাটানের হিলটন হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক সংবর্ধনা। এতে দলীয় নেতাকর্মীরা ছাড়াও শত শত প্রবাসীরা অংশগ্রহন করেন।প্রতিবারের ন্যায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলেও এবারের আয়োজনে ভিন্নতা ছিল । প্রবাসের কোন নেতাকর্মীদেরকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ না দেয়া। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গীদের মধ্যে আওয়ামীলীগের প্রথম সারির নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখার সুযোগ পাননি।আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ সেলিম, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ আলী।তাদের আলোচনায় বিভিন্ন দল ও দলের নেতাদের সমালোচনা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল বস্তুনিষ্ঠ, তথ্যভিত্তিক ও বাংলাদেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি এবং অবকাঠামোগত পরিকল্পনা নিয়ে। এছাড়াও বাংলার মেহনতি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে তার প্রতিচ্ছবি প্রবাসীদের কাছে তুলে ধরে তিনি বলেন আগামী নির্বাচনে জনগনের সমর্থন পেলে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করা হবে। তিনি দেশের সার্বিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, জঙ্গীবাদ দমন, পদ্মা সেতু নির্মান, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও রিজার্ভ ফান্ডের কথা উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন এবং প্রবাসীদের বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে অসীম অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ভবিষ্যতে ঢাকা টু নিউইর্য়ক সরাসরি বিমান চালুর পরিকল্পনার কথা জানান।
এদিকে প্রবাসের নেতাকর্মীরা দলের টানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ষ্টেট থেকে শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে, রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে সংবর্ধনায় অংশ নিয়ে যখন তৃপ্ত হয় ঘরে ফেরা তখনি নিজেদের কাছেও দীর্ঘ পথ যাত্রার সফর সংঘীদের কাছে যেন এক কঠিন প্রশ্ন উকিঁ দেয় যে আওয়ামীলীগের জনসভায় আওয়ামীলীগ বিরোধীরা কিভাবে এই সংবর্ধনা সভায় প্রবেশ করে বীরদর্পে প্রধানমন্ত্রীর সামনে দাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সন্মানিত সভাপতি ডঃ সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে।যে মানুষটি আওয়ামীলীগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের লোভনীয় চাকরি, স্ত্রী -সন্তান, আত্নীয়-স্বজন, লোভ-লালসা ও বিলাসিতা পরিহার করে শুধু আওয়ামীলীগের জন্য বৈরাগীর ন্যায় যুক্তরাষ্ট্রের গন্ডি পেরিয়ে গোটা বিশ্বে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত অর্থ খরছ করে ঘুরে বেড়ায়। যে নেতা নিজের জীবন বাজি রেখে জামাত শিবির এবং বিএনপির বিরোদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তার নেতৃত্ব নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলে তারা প্রকৃত আওয়ামীলীগ কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা উচিত। নেতাকর্মীদের প্রশ্ন এরা কি একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর জামাত শিবিরের নেয়া আওয়মীলীগ ও তাদের নেতাকর্মীদের ধবংস করার যে পরিকল্পনা এটা কি তার অংশবিশেষ কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। এছাড়াও সেদিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের পলাশীর প্রান্তের মত নিরবতার কারনটিও প্রশ্নবিদ্ধ।
অন্যদিকে উক্ত সম্মেলনে সাউথ জার্সি মেট্টো আ’লীগের ১ নং যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক শওকত শিমুল ডঃ সিদ্দিকুর রহমানের পক্ষে অবস্থন নিয়ে স্লোগান দিতে থাকলে ডঃ সিদ্দিকুর রহমান বিরুদীদের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ গটনায় সাংবাদিক শওকত শিমুরকে অপমান করায় ডঃ সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অসধাচরনকারীদের সাংগঠনিক বিচার দাবী করেছেন। সাউথ জার্সি মেট্টো আ’লীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম, শাহজাহান, ১নং সহ-সভাপতি সাব্বির হোসেন ভুইয়া, সহ-সভাপতি আহসান হাবিব, রতন ভট্টাচার্য, কামাল হোসেন, মো: শাহীন, কাঞ্চন বল, আব্দুল জলিল, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শওকত শিমুল, লিচন চৌদুরী, বিপ্লব দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ সিদ্দিক, রওশন উদ্দিন, শেখ সেলিম। আ’লীগ নেতা শহীদ খান, আবুল হোসেন, রেজাউল ইসলাম খালিদ , হুমায়ন সিকদার, সুলতানা শেখ, নারগিস আক্তার, সাবেরা চেীধুরী, গোলাম হাফিজ, রেখা খাতুন, আবুল হোসেন, সেলিনা আক্তার, শিল্পী বেগম, সুজন দাস প্রমুখ। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্ট্রেটের আ’লীগের ত্যাগি নেতা কর্মীরা ডঃ সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদীদের তিবৃ নিন্দা ও সমালচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর যতার্থ বিচার দাবী করেছেন।
তাই প্রবাসের সকল নেতাকর্মীদের দাবি ডঃ সিদ্দিকুর রহমান যতদিন বেঁচে থাকবে তিনি যেন যু্ক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে থাকতে পারে।